Vol. 3, Issue 12, Part G (2017)
রঘুবংশের সঞ্জীবিনী টীকায় উল্লিখিত অমরকোষোদ্ধৃতির প্রামাণিকতা বিচার – এক সমীক্ষা
রঘুবংশের সঞ্জীবিনী টীকায় উল্লিখিত অমরকোষোদ্ধৃতির প্রামাণিকতা বিচার – এক সমীক্ষা
Author(s)
মানস কুমার ঘোষ
Abstract
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজিক প্রয়োজনেই মানুষকে একে অপরের সাথে বাগ্ ব্যবহার সম্পন্ন করতে হয়। আর ভাষা হল সেই পারস্পারিক মতবিনিময়ের প্রধান মাধ্যম। এই ভাষা হল শব্দনির্ভর। এই শব্দের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে বাঁধা থাকে অর্থ। এই শব্দরূপ পুষ্পদ্বারা গাঁথা হয় কাব্য। তাই কবির কাব্যিক ভাষাকে বুঝতে গেলে ভাষার উপাদান শব্দের অর্থকে জানা প্রয়োজন। মহাকবি কালিদাস সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে রচনা করেছেন তাঁর কালজয়ী মহাকাব্য ‘রঘুবংশ’। আর ব্যাখ্যাকার মল্লিনাথ মনস্বিতার অপার দৃষ্টান্ত রেখে এই মহাকাব্যের রসমাধুর্যকে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। এক্ষেত্রে মহাকবির দুর্বোধ্য কাব্যিক ভাষা সুবোধ্য করার জন্য তিনি তাঁর ‘সঞ্জীবিনী’ টীকায় রঘুবংশের প্রতিটি শ্লোককে অন্বয়মুখে ব্যাখ্যা করেছেন। এর সঙ্গে তিনি শ্লোকের ছন্দ, অলংকারেরও উল্লেখ করেছেন। আবার কখনও কখনও দর্শনশাস্ত্র, নীতিশাস্ত্র, মীমাংসাশাস্ত্রের আলোচনাও তিনি করেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ব্যাকরণের প্রসঙ্গ তিনি কদাপি বাদ দেননি। যা তাঁর টীকার একটি প্রধান বৈশিষ্ট। এর পাশাপাশি আরও একটি বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তা হল তিনি শ্লোকস্থ অধিকাংশ পদের অর্থ দেখিয়েছেন এবং সেই প্রসঙ্গে বিভিন্ন কোষগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি প্রদান করেছেন। এর ফলে একদিকে যেমন তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন অপরদিকে তাঁর টীকা আরও সুসমৃদ্ধ হয়েছে। কোষগ্রন্থগুলির মধ্যে ‘অমরকোষ’ থেকেই তিনি সর্বাধিক উদ্ধৃতি গ্রহণ করেছেন। এই অমরকোষের উদ্ধৃতিগুলির প্রামাণিকতা বিচারই হল আলোচ্য শোধপত্রের লক্ষ্য।
How to cite this article:
মানস কুমার ঘোষ. রঘুবংশের সঞ্জীবিনী টীকায় উল্লিখিত অমরকোষোদ্ধৃতির প্রামাণিকতা বিচার – এক সমীক্ষা. Int J Appl Res 2017;3(12):466-471.